কারণ-
১. জন্ম দেওয়াকে মহৎ করার পেছনে যতগুলো ব্যবসা আছে সব বন্ধ হয়ে যাবে।
রাজনীতি চায় কর্মী, কারখানা চায় শ্রমিক, ধর্মব্যবসা চায় নিজের দলভারী করতে, পুঁজিবাদ চায় ক্রেতা।
২. মানুষ তার জীবনের যেসময় এসে উপলব্ধি করতে পারে, সে জন্ম না নিলে / জন্ম না দিলে কিছুই যেতো আসতো না এবং মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা করা কতটা ভয়ংকর সেই অন্তিমসময়ে সে ইতিমধ্যে জন্ম দিয়ে ফেলেছে!
৩. সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জন্মদানের বিরোধী তেমন একটা পাওয়া যায় না।
কারণ এখানে সরব বেশিরভাগই তরুণ প্রজন্ম।
বৃদ্ধ বয়সে কেঁপে কেঁপে যারা পা ফেলে, শরীরের সকল ইন্দ্রিয় কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেলে, সে অন্যের জন্য বোঝা এটা উপলব্ধি করে, খাবারের তুলনায় ঔষধের পরিমাণ বেশি নিয়ে যেখানে বেঁচে থাকাই কষ্টকর সেখানে তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরব হবে কী করে?
আর তরুণ প্রজন্মের অনেকেই জীবনযন্ত্রণা টের পেলেও সম্ভবত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যেমে আনন্দে আছে এমনটাই দেখাতে স্বস্তিবোধ করে!
৪. মা-বাবার অধীন থাকার কারণে (অর্থনৈতিক বা অন্যান্য কারণে নির্ভরশীল) তাদের বিরুদ্ধে যায় এমন বিষয় সন্তানদের অনেকেই সহজে নিতে পারে না।
৫. শিশু বেড়েই ওঠে সেখানে যেখানে
মা-বাবাকে পূজনীয় জায়গায় রাখা হয়!
প্রচলিত এবং সকল ধর্মেই তাদের মহৎ করে তুলে ধরা হয়।
যে কারণে ভাবনাতেও আসে না জন্ম দেওয়ার পিছনে মা-বাবার স্বার্থ থাকতে পারে!
৬. মানুষ আশাবাদী প্রাণী। উন্নত চিকিৎসা পদ্ধতি আমাদের বহু বছর বাঁচিয়ে রাখবে ভাবতে ভালো লাগে।
(অথচ অমরত্ব বা দীর্ঘদিন বাঁচাই যদি ভালো হতো তবে জাহান্নামে অনন্তকাল জ্বলতে হবে শুনলে সবাই খুশি হতো!)
জীবনের সাথে মৃত্যু অবিচ্ছেদ্যভাবে জড়িত, মনুষ্য প্রজাতির বিলুপ্তি অবশ্যম্ভাবী ভাবতে বোধহয় ভালো লাগে না কারোরই।
৭. প্রজাতি টিকিয়ে রাখার স্পৃহা সকল প্রাণীর মধ্যেই বিদ্যমান।
মানুষও ব্যতিক্রম না৷ অথচ এত হিংসুটে, পৃথিবীর জন্য ক্ষতিকর প্রাণীর অস্তিত্ব না থাকাই ভালো।
(মানুষের জন্যও ভালো!)