(বৌদ্ধ দর্শন থেকে কিছুটা অনুপ্রাণিত)
আমি প্রচলিত ইস্যুতে তেমন কথা বলি না। এমনকি এই যে অমুক জায়গায় আগুন লাগলো তবুও কিছু বলিনি।
কেনো বলি না?
আমি বিশ্বাস করি, এই সূর্যের নিচে নতুন করে কিছুই ঘটে না!
শুধু স্থান আর কালের পরিবর্তন, এছাড়া একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে চলছে।
মহাকাল সাক্ষী মানুষের ইতিহাস অন্যায়ের ইতিহাস, জুলুমের ইতিহাস৷
এসব আমরা পরিবর্তন করতে পারবো না। এজন্য সত্যিই যদি আমি আপনি এসব ঘটনা দেখে কষ্ট পাই, যদি চাই এসব না ঘটুক তাহলে কাউকে জন্ম না দেওয়াই বরং ভালো।
আমাদের জন্ম এবং মৃত্যু একই বিষয়।
এটা খুবই হাস্যকর যে, আমরা মৃত ব্যক্তির জন্য কাঁদি এবং দুঃখ প্রকাশ করি। অপরদিকে শিশুর জন্মানোর খবর শুনে আনন্দিত হই।
অথচ দুটো বিষয় একই!
যদি কাঁদতেই হয় তাহলে গোড়াতেই (জন্মমুহূর্তেই) কেঁদে নিন!
আমরা কেনো জন্মেছি?
আমরা জন্মেছি যেনো আমাদের আর জন্মাতে না হয়!
যারা জন্মেছে পরকাল বলে কিছু থাকলে তো নরকে কেউই জায়গা পাবে না।
কারণ নরকে কি দুইবার যাওয়া যায়?
(জীবন বলতেই তো নরক)!
যখন কেউ মৃত্যু কী ভেবে দেখে না তার কাছে জীবন বরাবরই ধাঁধার মত।
(পেটভরা গু থাকলে নানান ঢং-এ হাগা যায় তেমনি মৃত্যু কী না বুঝলে জীবন রঙচঙেই লাগে!)
মৃত্যু নিঃশ্বাসের চেয়েও নিকটে এবং মৃত্যুর মাধ্যমে জানতে পারবেন প্রশ্ন না থাকার শান্তি কতটা!
মৃত্যু মানে কেবলই শেষ! সন্তান জন্ম দেওয়ার মাধ্যমে নিজেকে আবার জন্ম না দিতে পারলেও বহু প্রাচীন অসুখ মৃত্যুকে নতুন করে জন্ম দিতে পারবেন অনাগতের মাঝে!
সন্তান জন্ম দেওয়ার মাধ্যমে সন্তানের মৃত্যুকে জন্ম দেন তারা!
আমরা সকল পরম্পরায়, যা কিছু অতীত থেকে চলে আসছে সকল বিষয় নিয়েই কম বেশি প্রশ্ন করি।
কিন্তু আমার বাবার জমিদারি তিনি মরে গেলে আমি পাবো, আমি মরে গেলে আবার আমার সন্তান পাবে এই রকম চলমান বিষয়ে কেনো প্রশ্ন তোলা হয়না?
কেনো জন্মানোর এই প্রতিযোগিতা চালিয়েই যেতে হবে?
কেনো কেউ আমাকে জন্ম দিয়েছে বলে সেই শাস্তি আমিও অন্য কাউকে দিবো?