সফলতা

এক জন্মদানবিরোধী
0

 




জীবন একটি সংগ্রাম,যুদ্ধ,পরিশ্রম-সফলতার বিষয় এবং সুখের জন্য এইসব অত্যাবশ্যক।এই কথাগুলো পরিবার থেকে শুরু করে সমাজের সকলেই বলে থাকেন।এর প্রচারে নীতি-নৈতিকতার পুরোহিত,প্রজ্ঞাবানেরাও বাদ যান না।জীবন যে সংগ্রাম বা যুদ্ধের- সেটা কার বিরুদ্ধে?প্রতিপক্ষটা কে?নিশ্চয়ই আরেকটি জীবন!যেখানে জীবন মানেই আরেকটি জীবনকে পরাজিত করা সেখানে নৈতিকতা কি মিথ্যায় পর্যবসিত হয় না?


পরিশ্রম ব্যতীত জীবনযাপন সম্ভব নয়।টিকে থাকতে হলে পরিশ্রম আবশ্যক।পরিশ্রমের মাধ্যমে জীবনযাপনের পাশাপাশি আরেকটি বিষয় অর্জন হয়-সফলতা।যে যত বেশি পরিশ্রমী সে তত বেশি সফল!কথাটা একটি মিথ্যা,প্রবঞ্চনামূলক কথা।সত্যটি হলো যে যত বেশি মেধাবী সে পরিশ্রমের মাধ্যমে তত বেশি সফল।এই সফলতাও কিন্তু মানুষের বিরুদ্ধেই।মানুষ মানুষকে হারিয়েই সফলতা অর্জন করে।সমাজের পদে পদে মেধার জয়,সাথে মানুষের চরম পরাজয়।


এই সফলতার একটি গুণ বা আবিষ্কার হলো সুখবোধ।এই অনুভূত বোধটাকে সুখ নামকরণও  বিশ্রী,পৈশাচিক বলে আমি মনে করি।নিজের অবস্থা অন্যের থেকে তুলনামূলক ভালো হওয়ায় যে স্বাচ্ছন্দ্যের,সন্তুষ্টির অনুভূতি হয়, তা তাদের গড় মূল্যবোধের সাথে সাংঘর্ষিক নয় কি?এই যে মানুষ দ্বারা মানুষ পরাজিত,পীড়িত,শোষিত এসব কি নৈতিকতার মানদণ্ডে নৈতিক?যেহেতু কারো জন্মে কারো হাত নেই,মানে কারো অমেধাবী বা কম মেধাসম্পন্ন হওয়ায় কারো হাত নেই।


যেখানে আমরাই দেখছি,বলছি জীবন একটি সংগ্রাম,যুদ্ধ,পরিশ্রম-সফলতার বিষয় এবং এই খেলার দুই দলই মানুষ,সেখানে এই অহেতুক,অনৈতিক সংগ্রাম,যুদ্ধ বা সফলতার সমর ময়দান জিয়িয়ে রাখতে  আরেকটি প্রাণের জন্ম কতটা যৌক্তিক?এবং সংগ্রাম,যুদ্ধ থেকে জয়/পরাজয় তার থেকে রাক্ষস এবং শোষিতের জন্ম জেনেও আরেকটি সৈনিকের উৎপাদন  নৈতিকতার মানদণ্ডে কতটা নৈতিক?


লিখেছেন : রিসাদ রনি



🌼জন্মদানবিরোধী 🌼


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)

#buttons=( ঠিক আছে ) #days=(20)

এই ওয়েবসাইটটি / মোবাইল অ্যাপ 18 বছরের কম বয়সী ব্যক্তিদের জন্য নয়
Accept !
To Top