*যখন কোনো মুভি দেখি তখন আমরা নিজেকে প্রশ্ন করি, 'এই মুভিটা আমি অন্য কাউকে দেখার জন্য বলতে পারি কিনা।
তেমনি আপনার এবং অন্যদের জীবন পর্যবেক্ষণ করে নিজেকে প্রশ্ন করুন, জীবন অন্যকে রিকমেন্ড (কাউকে জীবন বা জন্ম দিয়ে) করতে পারেন কিনা।
* সমাজ এবং পারিপার্শ্বিকতা আমাদের উপর পিতৃত্ব বা মাতৃত্বকে চাপিয়ে দেয়৷
তারা মনে করে সন্তান না নিলে আমরা স্বাভাবিক না।
* মানুষ পৃথিবীর সবচেয়ে নিকৃষ্ট প্রজাতি৷
আমরা পৃথিবীর কোনো উপকারেই আসি না বরং ক্ষতিই করি।
*আমার মনে হয়, জীবন এমনিতেই সহজ না, কঠিন এক সংগ্রাম।
আমি নতুন একটা প্রাণকে এই সংগ্রামের জীবনে আনবো না।
* আপনি যদি মনে করে থাকেন, জন্ম-মৃত্যু প্রকৃতির খেলা এবং এখানে কেবলমাত্র আমরা খেলার অংশ। জীবন খারাপ হোক বা খারাপ ভালোর মিশ্রণ হোক একদিন তো মরেই যাবেন।
তাহলে রেজাল্টটা কী দাঁড়ালো? যা কিছু হারিয়েই যায়, শেষ হয়েই যায় তা থাকা না থাকা তো কোনো মূল্য বহন করে না।
*আমরা বড়জোর সুখী হওয়ার চেষ্টা করতে পারি। কিন্তু সুখ ক্ষণস্থায়ী। ক্রনিক হ্যাপিনেস (দীর্ঘস্থায়ী সুখ) নাই কিন্তু ক্রনিক পেইন (দীর্ঘস্থায়ী দুঃখ) আছে।
* এই বিধ্বস্ত পৃথিবীকে ঠিক (সুস্থ) করার জন্য নতুন কাউকে আনা নৈতিকভাবে যৌক্তিক না।
* আমি বলবো না, জীবন নিয়ে আমি হতাশ তবে জীবন অপ্রয়োজনীয়।
কোনো কারণ নাই আমার এখানে থাকার।
কেবলমাত্র মা-বাবার সিদ্ধান্তের জন্য আমি এখানে।
* আমার সমস্যা নেই যদি কেউ আমাকে আমার সিদ্ধান্ত শুনে হতাশাবাদী বলে৷ আমি মনে করি, আমি আসলে বাস্তববাদী ।
*বাচ্চা না নেওয়া সবচেয়ে পরিবেশবান্ধব সিদ্ধান্ত হবে৷ কারণ আমার পরে কার্বন নিঃসরণ করার মতো কেউ থাকবে না৷
(ইন্ডিয়ান এন্টিন্যাটালিস্টদের একটা প্রতিবেদন থেকে মূলভাব সংগৃহীত)